মসজিদ তৈরির ফজিলত - Islamic Tune Series
মসজিদ তৈরির ফজিলত
মসজিদ হল মুসলিম সমাজের মূল কেন্দ্র , যে সমাজে মসজিদ নেই সেই সমাজের মানুষ হেদায়েত থেকে অনেক দূরে থাকবে, কেননা মসজিদ প্রতিদিন হেদায়েতের আলো ছড়ায়, মসজিদ এমন একটি ঘর যেখানে প্রতিদিন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সেটা আমরা আদায় করে থাকি, একটি মুসলিম সমাজ বিনিয়র মানে মসজিদের ভূমিকা অপরিসীম ।
ইসলামের প্রথম মসজিদ নির্মাণ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৪০ বছর বয়সে যখন নবুয়ত প্রাপ্ত হলেন তখন আল্লাহ তাআলার নির্দেশে নিজের জন্মভূমি মক্কায় দাওয়াত প্রচার শুরু করলেন, সে সময় দেখা গেল তার কওমের লোকেরা মক্কার অধিবাসীরা ইসলামের দাওয়াত তো গ্রহণ করলোই না আবার উল্টো রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপরে অমানবিক নির্যাতন শুরু করলো একপর্যায়ে নির্যাতনের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেল যে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করলেন সেই হিজরতের সময় মক্কা এবং মদিনার মধ্যবর্তী একটি স্থান যার নাম ছিল কুবা সেখানে কুবা নামক একটি খুব থাকার কারণে সেই জায়গার নাম কোবা রাখা হয়েছিল সেখানে এক সাহাবীর খেজুর বাগানে ইসলামের এবং নবুওয়াত পরবর্তী সময়ে প্রথম মসজিদ নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করেন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি নিজ হাতে পাথর টেনে নিজ হাতে মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন।
মসজিদ নির্মাণে আল কুরআন কি বলে ?
মসজিদ নির্মাণ ইসলামে একটি মহানকাজ এবং যারা মুসলিম নির্মাণ করেন অথবা মসজিদ নির্মাণের সহযোগিতা করেন আল্লাহ তায়ালা বিশেষভাবে তাদেরকে ভালোবাসেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনুল কারীমের মধ্যে 28 জায়গায় মসজিদ নির্মাণের কথা বলেছেন পবিত্র কুরআনুল কারীমের মধ্যে
সূরা তাওবার 18 নম্বর আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেন -
انما يعمر مساجد الله من امن بالله واليوم الاخر واقام الصلاه واتى الزكاه ولم يخشى الا الله فعسى اولئك ان يكونوا من المهتدين
” তারাই তো আল্লাহর ঘর আবাদ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি, সালাত কায়েম করে যাকাত দেয় ও আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না, অতএব আশা করা যায় তারা সৎ পথ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে “ ( তাওবা আয়াত ১৮ )
মসজিদ নির্মাণ করাটা জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম।
মসজিদ নির্মাণে রাসূলের হাদিস কি বলে ?
আসলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন সহি বুখারির হাদিস -
من بنى مسجدا لله بنى الله له بيتا في الجنه
” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তা'আলা তাঁর জন্য জান্নাতে অনুরূপভাবে একটি ঘর তৈরি করে দিবেন“ ( সহীহ বুখারী ৪৫০ )
মসজিদ নির্মাণ অন্যতম একটি সদকায়ে জারিয়া
সম্মানিত প্রার্থক বৃন্দ আমরা সকলেই জানি একজন মানুষ যখন মারা যায় যখন সে আখেরাতের প্রথম ঘাঁটি কবরে অবস্থান করে তখন কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই তার আমলনামা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথকিন্তু তাদের আমলনামা বন্ধ হয় না যারা দুনিয়াতে সদগায়ে জারিয়া মূলক কোনো কাজ করে যাই যদি কোন ব্যক্তি সদকায়ে জারিয়া মূলক কোনো কাজ করে তাহলে সেই ব্যক্তি যদি মারাও যায় সেই ব্যক্তি যদি কবরে অবস্থান করে তারপরেও কবরে থাকা অবস্থায় সেই ব্যক্তি সওয়াব পেতে থাকবে, কোন কাজগুলো সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত তা নিচে দেওয়া হল-
১. ইলিম শিক্ষা দেওয়া
২. নদী প্রবাহিত করতে সহযোগিতা করা
৩. খুব খনন করা
৪. বৃক্ষরোপণ করা
৫. মসজিদ নির্মাণ করা
৬. পবিত্র কোরআন বিতরণ করা
৭. নিকার সন্তান রেখে যাওয়া
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে মসজিদ নির্মাণ করতে সহযোগিতা করার তৌফিক দান করুক আমিন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
লেখক
হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসাইন ইমাম
ইসলামিক এরাবিক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
বিখ্যাত কারীদের কন্ঠে উচ্চারণ ও বাংলা অর্থসহ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শুনতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাশে থাকুন ধন্যবাদ।
নিচে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের লিংক দেওয়া হল সেখানে টাচ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন জাযাকাল্লাহ ।
https://www.youtube.com/@islamictuneseries
No comments: